Kalyani University B.A 3rd Semester Bengali sec Nep suggestions 2026

Kalyani University Suggestion

Kalyani University B.A 3rd Semester Bengali SEC Nep Suggestions 2026

ব্যবহারিক বাংলা

Kalyani University B.A 3rd Semester Bengali SEC Nep ছোট প্রশ্ন, বড়ো প্রশ্নের উত্তর সহ কমপ্লিট সাজেশন PDF টি পেতে.. তুমি 99 টাকা পেমেন্ট কর। পেমেন্টের পর এক সেকেন্ডের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সাজেশনটি পাবে। ধন্যবাদ। টাকা টি পেমেন্ট করার জন্য নিচে PAY বাটনে ক্লিক কর।

তুমি চাইলে সরাসরি PhonePe-এর মাধ্যমে 99 টাকা পেমেন্ট করে সাজেশন সংগ্রহ করতে পার। PhonePe নম্বর: 6295668424 (পেমেন্টের পর স্ক্রিনশট হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালে PDF COPY পাঠিয়ে দেব।)

My Phone Number- 6295668424

সম্পূর্ণ সাজেশন টি ইউটিউবে দেখানো হয়েছে তুমি দেখে আসতে পারো।

• এই সাজেশনের বড়ো প্রশ্ন সংখ্যা 28 টি।
ছোট প্রশ্ন প্রশ্নের উত্তর সহ কমপ্লিট সাজেশন পাবেন।
• নিরক্ষরেখে বলতে পারি এই সাজেশনেরর বাইরে কোন প্রশ্ন উত্তর আসবে না।
• ১০০% তোমরা কমন পাবে।
• এই সাজেশনের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সিলেবাস অনুযায়ী এবং ইউনিট অনুযায়ী সাজানো রয়েছে ।
• তোমরা চাইলে খুব সহজে BUY করতে পারো।
• THANK YOU.

এখানে অল্প কিছু প্রশ্নোত্তর আপলোড করা হয়েছে যদি তোমার মনে হয় সাজেশনটি BUY করতে পারো ।

(সিলেবাস – ২০২৬)

Unit – 1: সুভাষ মুখোপাধ্যায় — ‘কাজের বাংলা’

Unit – 2: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী — ‘বাংলা কি লিখবেন কেন লিখবেন’

Unit – 3: পবিত্র সরকার — ‘বাংলা লেখার সহজ পাঠ’

Unit – 1: সুভাষ মুখোপাধ্যায় — ‘কাজের বাংলা’

*****1) প্রশ্ন. সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘কাজের বাংলা’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা কর। ১০/৫

ভূমিকা:

বাংলা ভাষা শুধু আমাদের ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও প্রশাসন, শিক্ষা, বিচার কিংবা দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার যথাযথ ব্যবহার এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই বাস্তবতার আলোকে কবি ও প্রাবন্ধিক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘কাজের বাংলা’-য় ভাষার ব্যবহারিক দিক, এর সীমাবদ্ধতা এবং সম্ভাবনার কথা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, বাংলা শুধু আবেগের ভাষা নয়—এটি কর্মক্ষেত্রের ভাষাও হতে পারে, যদি আমরা তার সঠিক প্রয়োগে মন দিই।

△ প্রবন্ধের মূল ভাব: ‘কাজের বাংলা’ প্রবন্ধে সুভাষ মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত সরল অথচ গভীর ভাষায় বাংলার ব্যবহারিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে, ভাষা কেবল সাহিত্যের অলঙ্কার নয়; এটি কাজের হাতিয়ারও হতে পারে। তিনি দেখিয়েছেন, প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, বিজ্ঞান ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সমাজে বাস্তব পরিবর্তন আসবে। কিন্তু সমস্যা হল—আমাদের নীতিনির্ধারকেরা কথায় মাতৃভাষার পক্ষপাতী হলেও, কাজে ইংরেজিনির্ভর মনোভাব এখনো অটুট।

△ কথা দিয়ে কথা রাখা: সুভাষ মুখোপাধ্যায় আক্ষেপ করেছেন যে, যাদের মাতৃভাষা বাংলা, তারাই কাজের ক্ষেত্রে অন্য ভাষার ওপর নির্ভরশীল। যাঁরা ইংরেজিতে দক্ষ, তাঁদের কাছে কাজের ভাষা বাংলা না হলেও সমস্যা হয় না, কিন্তু সাধারণ মানুষ, যাদের ভোটে সরকার গঠিত হয়, তাদের ভাষা বাংলাই। অথচ সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি নিত্য প্রশাসনিক কাজে বাংলা প্রায় উপেক্ষিত। তাঁর মতে, মাতৃভাষার ব্যবহারই জনগণ ও সরকারের মধ্যে প্রকৃত যোগাযোগের সেতু গড়ে তুলতে পারে। তাই সরকারী কাজে বাংলার সহজ প্রয়োগ হওয়া উচিত—এটাই তাঁর দৃঢ় মতামত।

△ ঘোড়ার আগে চাবুক পরে: স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাকে কাজের ভাষা করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাজশেখর বসু, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার সেন প্রমুখ ভাষাবিদদের নেতৃত্বে ‘পরিভাষা সমিতি’ গঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন বিষয়ে বাংলার উপযুক্ত পরিভাষা তৈরি করা। কিন্তু সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতে, সরকারের আন্তরিকতা সেখানে যথেষ্ট ছিল না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন—সরকার ভাষাবিদদের আড়ালে লুকিয়ে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। তাঁর ভাষায়, “শিক্ষা না চলিলে শিক্ষাগ্রন্থ হয় কী উপায়ে?”—অর্থাৎ, কাজ শুরু না করলে ভাষার বাস্তব উন্নতি সম্ভব নয়।

△ হাতে কলমে: লেখক স্পষ্ট করে বলেছেন—বাংলায় লেখার অনুশীলনই ভাষাকে কার্যকর করে তোলে। বলা ও লেখার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বলা যায় সহজভাবে, কিন্তু লেখার সময় চিন্তা, যুক্তি ও গঠন প্রয়োজন। তাই লেখার সময় ভয় না পেয়ে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, “ভাষা তখনই জীবন্ত হয়, যখন তা হাতের কাজ ও মুখের কথা দুটোতেই সক্রিয় থাকে।” বাংলা শেখা মানে শুধু পড়া নয়, বরং হাতে কলমে ব্যবহার করা।

△ নিজের পায়ে দাঁড়ানো: তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কেউ কেউ রোমান হরফে বাংলা লেখার পরামর্শ দেন, যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলানো সহজ হয়। কিন্তু লেখক দৃঢ়ভাবে বলেন—বাংলার আত্মাকে রোমান হরফে বন্দি করা যায় না। বরং বাংলার নিজস্ব অক্ষর ও ধ্বনি রক্ষা করেই আধুনিক প্রযুক্তিতে একে মানিয়ে নিতে হবে। তিনি আশাবাদীভাবে বলেন, এখন যেহেতু সরকারি স্তরে বাংলা ব্যবহারের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, এটি ভবিষ্যতের জন্য শুভ সংকেত।

△ ঘরে ও বাইরে: প্রবন্ধে লেখক ইংরেজি শব্দের ব্যবহার নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, সম্পূর্ণভাবে ইংরেজি শব্দ বর্জন করা সম্ভব নয়, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ভাষার স্বকীয়তা নষ্ট করে। তিনি সংযতভাবে ইংরেজি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। যেমন—‘কম্পিউটার’, ‘ইন্টারনেট’, ‘ফাইল’ প্রভৃতি শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ থাকলেও, সেগুলোর ব্যবহার বাস্তবে জটিল হয়ে পড়ে। তাই তিনি বলেন—সংযমই ভাষার সৌন্দর্য বজায় রাখে।

△ বাংলা বোলচাল: সুভাষ মুখোপাধ্যায় বাংলা ভাষার প্রাণময়তাকে ‘বোলচাল’ বা ক্রিয়াপদের ব্যবহারে খুঁজে পান। যেমন—‘হওয়া’, ‘করা’, ‘খাওয়া’, ‘চলা’, ‘বলা’ প্রভৃতি ক্রিয়াপদ নানা অর্থে ব্যবহৃত হয়ে ভাষাকে প্রাণ দেয়। তিনি বলেন, “বাংলা ভাষা তার ক্রিয়াপদের সুরে বেঁচে আছে।” এসব ক্রিয়া ভাষায় আবেগ, ছন্দ ও বাস্তবতার রঙ এনে দেয়, যা অন্য ভাষায় বিরল।

△ সাধু বনাম চলিত: প্রবন্ধে তিনি স্মরণ করেছেন সেই সময়ের কথা, যখন বাংলায় সাধু ও চলিত ভাষার দ্বন্দ্ব চলছিল। প্রমথ চৌধুরী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রচেষ্টায় চলিত ভাষা আজ সাধারণের ভাষা হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “যখন লেখার ভাষা ও মুখের ভাষার মধ্যে অসামঞ্জস্য থাকে, তখনই সমস্যা।” তাই আজকের যুগে কাজের ক্ষেত্রেও ‘চলিত বাংলা’ই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর ভাষা।

△ এখনও দাসখত: সুভাষ মুখোপাধ্যায় দেখিয়েছেন, বিজ্ঞাপন ও প্রচারে এখনও ইংরেজির প্রভাব প্রবল। ‘Look before you leap’-এর মতো ইংরেজি প্রবাদ অনুবাদ করতে গেলে “আগে দেখে পরে লাফ দাও” বলতে হয়—যা ভাবানুবাদে সঠিক হলেও ইংরেজির প্রভাবের এক নিদর্শন। তিনি বলেন, ইংরেজির ছাঁচে বাংলা নয়, বরং বাংলাকে নিজের গুণে দাঁড়াতে হবে। নইলে আমরা ভাষার দাসত্ব থেকে মুক্তি পাব না।

△ লিঙ্গ, বচন, সমাস, সন্ধি: প্রবন্ধে লেখক ভাষাতাত্ত্বিক দিক নিয়েও বিস্তারিত বলেন। তিনি লক্ষ্য করেছেন, বাংলা এখনও সংস্কৃতের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। যেমন—‘মহতী’, ‘ফলবতী’, ‘অন্নদাত্রী’, ‘প্রধানা শিক্ষয়িত্রী’ ইত্যাদি শব্দ কথ্য ভাষায় কম ব্যবহৃত হলেও, লেখ্য ভাষায় রয়ে গেছে। তাই তিনি আহ্বান জানান, সরকারি ও প্রশাসনিক কাজে যতটা সম্ভব খাঁটি, সরল ও বোধগম্য বাংলা ব্যবহার করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষও তা বুঝতে পারে।

△ ভূতের বেগার: লেখকের তীব্র সমালোচনা—দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেও বাংলাকে সরকারি কাজে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা দেওয়া যায়নি। ভাষার নামে শুধুই প্রতিশ্রুতি, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ কম। তবে তিনি আশার বাণীও শুনিয়েছেন—সনৎকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় প্রশাসনিক কাজ সম্ভব, শুধু চাই ইচ্ছাশক্তি। তাই ইংরেজির ছাঁচে বাংলা নয়, নিজের স্বরূপে বাংলা ব্যবহার করাই প্রকৃত সমাধান।

△ মানানো আর বানানো: বাংলা ব্যাকরণ এখনও অনেকাংশে সংস্কৃতনির্ভর, যার ফলে বানান ও শব্দগঠনে বিভ্রান্তি দেখা যায়। লেখক বলেন, বাংলা ভাষাকে তার নিজস্ব নিয়মে বিকশিত হতে দিতে হবে। যেমন—‘মন’, ‘তপ’, ‘পুর’ প্রভৃতি সংস্কৃত মূল শব্দ থেকেও নতুন বাংলা শব্দ তৈরি হচ্ছে, যা ভাষার বিকাশের ইঙ্গিত দেয়। তিনি মনে করেন, ভাষা যখন পরিবর্তন গ্রহণ করে, তখনই তা জীবন্ত থাকে।

△ চোখে মুখে: সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন—বাংলা ভাষার আসল সৌন্দর্য তার সুরে, ভঙ্গিতে, অনুকার শব্দে এবং জোড়া কথায়। “না”, “বুঝি”, “গে”, “তো”, “বৈকি” ইত্যাদি শব্দের যোগে বাক্যের আবেগ ও ভাব বদলে যায়। এই স্বাভাবিক ও জীবন্ত ভঙ্গিই বাংলাকে অন্য ভাষা থেকে আলাদা করে। বাংলার সুরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তার প্রাণ।

△ নাটের গুরু: লেখক রসিকতার ভঙ্গিতে বলেন—বাংলা বাক্যে ক্রিয়া হল “নাটের গুরু”। অর্থাৎ, বাক্যের প্রাণশক্তি ক্রিয়াপদে নিহিত। অনেক সময় ক্রিয়া সরাসরি প্রকাশ পায় না, কিন্তু বোঝা যায়—যেমন “আমার হাতে একটা কলম (আছে)”, “মেয়েজামাই (থাকে) আহমেদাবাদে।” এই বাক্যগঠনই বাংলার স্বাভাবিকতার পরিচায়ক।

△ অভিধান: প্রবন্ধে লেখক বাংলা ভাষার অভিধানগুলির অবদানকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। যেমন—

  • আশুতোষ দেবের ‘নূতন বাংলা অভিধান’ (১৯৩৭)
  • রাজশেখর বসুর ‘চলন্তিকা’ (১৯৪৬)
  • সুবলচন্দ্র মিত্রের ‘সরল বাংলা অভিধান’ (২০০০)
  • ‘সংসদ বাংলা অভিধান’ (১৯৯৪)

এইসব অভিধান বাংলা বানান, ব্যাকরণ, প্রবচন, পারিভাষিক শব্দ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপরিসীম অবদান রেখেছে। এরা ‘কাজের বাংলা’-কে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

উপসংহার: ‘কাজের বাংলা’ প্রবন্ধে সুভাষ মুখোপাধ্যায় আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন—বাংলা ভাষার আসল সমস্যা উচ্চারণে নয়, মানসিকতায়। আমরা নিজের ভাষাকে ‘কাজের’ ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে ভয় পাই। অথচ বাংলা এমন একটি ভাষা, যা আবেগ, যুক্তি ও কার্যকারিতার সমন্বয়ে সমৃদ্ধ। প্রশাসন, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি—সব ক্ষেত্রেই বাংলা ব্যবহারের সুযোগ আছে, শুধু দরকার আন্তরিক উদ্যোগ ও ইচ্ছাশক্তি।

প্রাবন্ধিকের বক্তব্যে স্পষ্ট—যদি আমরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করি, সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করি, তাহলে বাংলা সত্যিকার অর্থে “কাজের ভাষা” হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন—

“যে জাতি নিজের ভাষাকে ভালোবাসে না, সে জাতি নিজের অস্তিত্বও টিকিয়ে রাখতে পারে না।”

অতএব, ‘কাজের বাংলা’ শুধু ভাষার প্রবন্ধ নয়—এটি মাতৃভাষা প্রেম ও আত্মসম্মানের এক অনন্য ঘোষণা।

Unit – 2: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী — ‘বাংলা কি লিখবেন কেন লিখবেন’

*****2) প্রশ্ন. ‘বাংলা কি লিখবেন, কেন লিখবেন’ বইটিতে দেওয়া লেখকের মন্তব্য সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করো। অথবা, ‘বাংলা কি লিখবেন, কেন লিখবেন’ বইটিতে প্রকাশিত লেখকের মন্তব্য ক্রম অনুসারে সাজিয়ে লেখো। ১০/৫

উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘বাংলা কি লিখবেন, কেন লিখবেন’ বইটি বাংলা সাহিত্য ও লেখালেখির দর্শনকে নতুনভাবে আলোচনার সূচনা করে। এই গ্রন্থটি শুধু ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে নয়, বরং লেখক হিসেবে একজন মানুষের দায়িত্ব, চিন্তা ও প্রকাশভঙ্গি নিয়েও স্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করে। বইটির মূল লক্ষ্য হলো লেখকদের উৎসাহিত করা যাতে তারা সচেতনভাবে, ভাবনাপূর্ণ ও প্রাঞ্জলভাবে বাংলা ভাষায় লেখা শুরু করে। লেখক এখানে লেখালেখির প্রক্রিয়া, ভাষার যথার্থ ব্যবহার এবং সাহিত্যিক ও সাধারণ পাঠকের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছেন।

১. ভাষার সরলতা ও প্রাঞ্জলতা: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মনে করতেন, ভাষা যদি কঠিন ও জটিল হয়, তাহলে পাঠক সহজে তা বোধ করতে পারবে না। তাই তিনি বাংলাকে সহজ, প্রাঞ্জল ও শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠযোগ্য করার পক্ষপাতী ছিলেন। তাঁর মতে, লেখার সময় জটিল শব্দ ও অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করলে ভাষার সৌন্দর্য হারায় এবং পাঠক ও লেখকের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। লেখক প্রস্তাবিত করেন যে, ভাষা যেন সরল ও প্রাণবন্ত হয়, পাঠক যেন সহজেই তা অনুধাবন করতে পারে। তিনি মনে করতেন, জটিলতা ভাষার মূল সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে, তাই লেখককে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে।

২. চিন্তার স্বচ্ছতা ও বিষয়বস্তু নির্বাচন: চক্রবর্তীর মন্তব্য অনুযায়ী, লেখকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার চিন্তার স্বচ্ছতা। তিনি মনে করতেন, লেখককে প্রথমেই নিজের চিন্তাকে পরিষ্কার করতে হবে এবং তারপর সেটি লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। লেখককে ভাবতে হবে, কেন তিনি লিখছেন এবং তিনি কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিখছেন। সঠিক ও প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু নির্বাচন, পাঠকের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং বার্তা পৌঁছে দেওয়া — এই তিনটি দিক চক্রবর্তীর লেখার মূল ভিত্তি।

৩. লেখকের দায়িত্ব ও সামাজিক দিক: লেখা কেবল ব্যক্তিগত প্রকাশ নয়, বরং এটি সামাজিক দায়িত্ব বহন করে। চক্রবর্তীর মতে, একজন লেখক সমাজের সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে এবং তার লেখা পাঠককে ভাবার সুযোগ দিতে সক্ষম হতে হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, লেখা হতে হবে সমাজকে সচেতন করার একটি মাধ্যম। লেখক যদি তার দায়িত্বকে উপলব্ধি করে, তবে তার লেখা কেবল সাহিত্য নয়, বরং সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য একটি মূল্যবান অবদান হয়ে ওঠে।

৪. প্রাঞ্জলতার সঙ্গে সৃজনশীলতা: চক্রবর্তীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য হলো সৃজনশীলতার বিকাশ। লেখক মনে করতেন, ভাষা ও বিষয়বস্তু সরল হলেও, লেখায় অবশ্যই সৃজনশীলতার ছোঁয়া থাকতে হবে। লেখককে নতুন দৃষ্টিকোণ, ভাবনা এবং উপস্থাপনার ধরণ ব্যবহার করতে হবে। লেখায় সৃজনশীলতা থাকলে পাঠক আগ্রহী হয় এবং বার্তা সহজেই গ্রহণযোগ্য হয়। সৃজনশীলতার মাধ্যমে লেখক তার ভাবনা ও অভিজ্ঞতা পাঠকের সাথে শেয়ার করতে পারে, যা সাহিত্যকে চিরন্তন ও জীবন্ত রাখে।

৫. পাঠকের মনোযোগ ও আকর্ষণ: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী লেখক ও পাঠকের মধ্যে সংযোগকে খুব গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, লেখককে সবসময় পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করতে হবে। লেখার ভাষা, উদাহরণ এবং বিষয়বস্তু এমন হতে হবে, যা পাঠক সহজে অনুধাবন করতে পারে এবং পড়ার সময় আগ্রহ বজায় রাখে। লেখার মূল লক্ষ্য হলো পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা এবং তাকে ভাবাতে সক্ষম হওয়া। পাঠক যদি লেখার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে না পারে, তাহলে লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।

৬. নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিক: চক্রবর্তীর মন্তব্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো লেখার নৈতিক দিক। তিনি মনে করতেন, লেখকের কাজ হলো কেবল তথ্য প্রদান করা নয়, বরং মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধও প্রচার করা। লেখক যেন তার লেখায় সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা এবং সামাজিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়। লেখক যদি নৈতিক ও মানবিক দিককে গুরুত্ব না দেয়, তবে তার লেখা হয় শূন্য এবং সমাজে প্রভাব ফেলে না।

৭. ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি ও স্বাধীনতা: চক্রবর্তীর মতে, একজন লেখককে নিজের ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, লেখা হবে তখনই জীবন্ত, যখন লেখক তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা, অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনা পাঠকের সামনে নিয়ে আসে। লেখার মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও ভাবনার প্রকাশ ঘটানো সম্ভব। তবে এই স্বাধীনতা কখনও পাঠকের বোঝাপড়া ও ভাষার সরলতাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না।

৮. ক্রম অনুসারে মন্তব্যের সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ:

  • ১. ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল হওয়া উচিত।
  • ২. চিন্তাভাবনা পরিষ্কার ও প্রাঞ্জলভাবে প্রকাশ করতে হবে।
  • ৩. লেখকের সামাজিক দায়িত্ব থাকা আবশ্যক।
  • ৪. লেখায় সৃজনশীলতার উপাদান থাকা জরুরি।
  • ৫. পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা লেখকের মূল লক্ষ্য।
  • ৬. নৈতিক ও মানবিক দিক লেখার সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রয়োজন।
  • ৭. ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি ও স্বাধীনতা লেখায় প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই মূল মন্তব্যগুলো আমাদেরকে বাংলা লেখার একটি দৃঢ় দিকনির্দেশনা দেয়। তিনি দেখিয়েছেন যে, লেখার প্রক্রিয়া কেবল শব্দের খেলা নয়; এটি চিন্তাভাবনা, দায়িত্ববোধ, নৈতিক মূল্যবোধ এবং পাঠকের সাথে সংযোগের সমন্বয়। তাই যেকোনো লেখক এই দিকগুলো মেনে চললে তার লেখা সমৃদ্ধ, প্রাঞ্জল ও সমাজোপযোগী হবে।

উপসংহার: ‘বাংলা কি লিখবেন, কেন লিখবেন’ কেবল একটি বই নয়, এটি লেখকদের জন্য দিকনির্দেশনার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মন্তব্যগুলো আমাদের শেখায়, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সহজ, প্রাঞ্জল এবং পাঠকবান্ধব করার জন্য লেখককে সচেতন হতে হবে। লেখার মাধ্যমে আমরা কেবল নিজের ভাব প্রকাশ করি না, বরং সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধকেও সমৃদ্ধ করি। বইটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি লেখা একটি দায়িত্বশীল প্রচেষ্টা, যা পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই গ্রন্থের মূল বার্তা হলো—লিখবেন, কিন্তু সচেতনভাবে; লিখবেন, কিন্তু পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে; লিখবেন, কিন্তু ভাষার সৌন্দর্য বজায় রেখে। এই মূল নীতিগুলো মেনে চললে যে কোনো লেখক বাংলায় সমৃদ্ধ, প্রাঞ্জল এবং সমাজোপযোগী লেখা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

Unit – 3: পবিত্র সরকার — ‘বাংলা লেখার সহজ পাঠ’

*****3) প্রশ্ন. বলা আর লেখার তফাৎ বিষয়ে 'বাংলা লেখার সহজ পাঠ' গ্রন্থের লেখক যে সকল সূত্র বলেছেন তা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো। ১০/৫

উত্তর: প্রাবন্ধিক পবিত্র সরকার রচিত ‘বাংলা লেখার সহজ পাঠ’ গ্রন্থে বলা আর লেখার ভাষার মধ্যে যে তফাৎ বিদ্যমান, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভাষার দুইটি প্রধান রূপ—মৌখিক এবং লিখিত—সবার জন্যই পরিচিত, তবে বলা ও লেখার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। মুখে যা সহজেই বলা যায়, তা লেখা যায় না। একইভাবে, লিখিত ভাষার নিখুঁত রূপ সরাসরি মৌখিক কথায় প্রকাশ করা সবসময় সম্ভব নয়। লেখক এই পার্থক্যগুলি বোঝাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র তুলে ধরেছেন।

প্রথমত, চোখে দেখা কোনো বস্তু বা পরিস্থিতি: নিয়ে কথা বলার সময় আমরা অনেক ক্রিয়াকে অসম্পূর্ণভাবেই প্রকাশ করি। যেমন—‘আরে তুমি!’, ‘তুইও আছিস?’, ‘কোথেকে?’ ইত্যাদি বাক্য মুখের ভাষায় স্বাভাবিক মনে হয়। তবে এই ধরনের বাক্য লেখা যায় না। লেখা হলে সংলাপের সঙ্গে আনুষঙ্গিক বর্ণনা ও প্রেক্ষাপট যোগ করতে হয়। লেখকের উদ্দেশ্য থাকে পাঠককে সম্পূর্ণ ভাব বুঝতে দেওয়া, যা মুখে কথা বলার সময় প্রয়োজন হয় না।

দ্বিতীয়ত, মুখের কথায় অনেক সময় ইশারা: চোখের ভঙ্গি বা শরীরের অঙ্গভঙ্গি অর্থ প্রকাশ করতে সাহায্য করে। লেখা অবস্থায় এই ধরনের ভঙ্গিমা ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই লেখকের ক্ষেত্রে লেখা এবং ভাব প্রকাশের জন্য ভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে হয়।

তৃতীয়ত, লেখার ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ: কবিতায় স্তবক এবং বিভিন্ন যাতিচিহ্নের ব্যবহার অপরিহার্য। মুখের কথায় এই ধরনের নিয়মিত বিন্যাসের প্রয়োজন পড়ে না। লিখিত ভাষা পাঠকের জন্য সুসংগঠিত এবং স্বচ্ছভাবে অর্থ বহন করতে হয়, যা মুখের কথার জন্য প্রয়োজনীয় নয়।

চতুর্থত, বন্ধুবান্ধব বা আড্ডার পরিবেশে: মুখে যে ধরনের বাক্য বা শব্দ ব্যবহৃত হয়, তা কখনোই লেখা যায় না। বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তা লেখায় ব্যবহার করা হলে লেখকের সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ কলমের নিজস্ব ধরন এবং ভাষার শুদ্ধতা মুখের ভাষায় সবসময় রক্ষিত থাকে না।

পঞ্চমত, বক্তৃতা সাধারণত নাতিদীর্ঘ: হয়, কিন্তু একই বিষয় লেখা হলে এটি একটি নির্দিষ্ট, সুসংগঠিত রূপ নেয়। লেখার ভাষা বিস্তৃত, সুসংগঠিত এবং পাঠকের জন্য গ্রহণযোগ্য রূপে তৈরি হয়।

ষষ্ঠত, মৌখিক ভাষা ধ্বনি সাজিয়ে: শুরু হয়। শিশুরা তিন-সাড়ে তিন বছর বয়সে তাদের পরিবারের বা অঞ্চলের উপভাষা রপ্ত করে এবং পরে মান্য চলিত ভাষাও শেখে। তবে লিখিত ভাষায় শুধুমাত্র বর্ণ বসানো যথেষ্ট নয়; এর জন্য বর্ণ সাজানো, বানান, বাক্যগঠন এবং ভাষার শুদ্ধতা শেখা আবশ্যক।

সপ্তমত, কিছু কঠিন শব্দ যেমন: ‘প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব’, ‘অসূয়া’, ‘কেকাধ্বনি’ প্রভৃতি শব্দ লিখিত ভাষায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু মুখে বলা হয় কম। মুখের কথায় সহজ ও স্বাভাবিক শব্দই বেশি ব্যবহৃত হয়।

অষ্টমত, কর্মবাচ্য, ভাববাচ্য বা বিশেষ রূপগুলো: মুখের ভাষায় সচরাচর ব্যবহৃত হয় না। লেখা অবস্থায় এই রূপগুলি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা যায়। লিখিত রূপের মাধ্যমে পাঠককে সম্পূর্ণ এবং নিখুঁত অর্থ বোঝানো সম্ভব হয়।

নবমত, মুখের কথার ধরণ: যেমন আদর, সম্মান, ধমক—সবই গলার স্বরের তারতম্যের মাধ্যমে বোঝানো হয়। লিখিত ভাষায় এগুলি বোঝাতে হলে বিশেষ নিয়ম এবং চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়।

উপরিউক্ত সমস্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে: বলা আর লেখা এক নয়। কথ্য ভাষার অনেক অংশই সহজ, সংক্ষেপে ও প্রাঞ্জলভাবে প্রকাশিত হয়, কিন্তু লেখ্য ভাষা হল সেই ভাষার সুসংগঠিত, শালীন এবং সুচিন্তিত রূপ। লেখার মাধ্যমে পাঠককে স্পষ্টভাবে ভাব বোঝানো যায়। পবিত্র সরকারের মতে, বলা এবং লেখার মধ্যে পার্থক্য বুঝে লেখা ভাষা রচনা করলে পাঠকের জন্য তা সহজ, প্রাঞ্জল এবং গ্রহণযোগ্য হয়। এইভাবে, ‘বাংলা লেখার সহজ পাঠ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে ভাষার দুই রূপের ভিন্নতা এবং তার ব্যবহারিক দিক।

লেখার ভাষা কেবল বক্তব্য প্রকাশ নয়, এটি একটি নৈতিক ও বৌদ্ধিক প্রক্রিয়া, যা পাঠকের বোধগম্যতা এবং ভাষার শুদ্ধতাকে নিশ্চিত করে। বলা ও লেখার এই তফাৎ বোঝা শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা তাদের ভাষার দক্ষতা ও লেখার শৈলী উন্নত করতে পারে। মুখের ভাষার সরলতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ ভাব লেখার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হলে যথাযথ শৃঙ্খলা, বানান এবং বাক্যগঠন বজায় রাখা অপরিহার্য।

এভাবেই পবিত্র সরকার ভাষার তফাৎগুলো সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেছেন, যা শিক্ষার্থীদের জন্য লেখার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সহায়ক। বলা আর লেখার মধ্যকার এই সূক্ষ্ম পার্থক্য বোঝা শিক্ষার্থীদের মৌখিক ও লিখিত দক্ষতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য স্থাপন করতে সাহায্য করে।

এখানে অল্প কিছু প্রশ্নোত্তর আপলোড করা হয়েছে যদি তোমার মনে হয় সাজেশনটি BUY করতে পারো ।

তুমি চাইলে সরাসরি PhonePe-এর মাধ্যমে 99 টাকা পেমেন্ট করে সাজেশন সংগ্রহ করতে পার। PhonePe নম্বর: 6295668424 (পেমেন্টের পর স্ক্রিনশট হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালে PDF COPY পাঠিয়ে দেব।)

My Phone Number- 6295668424

সম্পূর্ণ সাজেশন টি ইউটিউবে দেখানো হয়েছে তুমি দেখে আসতে পারো।